রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের অন্যতম শাখা বিহার এটি। দানসূত্রে প্রাপ্ত ৩২ একর ভূমির উপর ১৯৯৭ ইংরেজি সনে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মূলতঃ বর্তমান বিহার অধ্যক্ষ ধুতাঙ্গশীলধারী ভিক্ষু শ্রীমৎ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির ১৯৯৭ সালের ২৯ অক্টোবর তারিখে (বুধবার) পাতা ছড়ি বৌদ্ধ বিহারে ৯ জন শিষ্য নিয়ে আগমন করলে প্রথমে অরণ্য কুটির পরে পাতাছড়ি বৌদ্ধ বিহারটি স্থানামত্মর করে বর্তমান মূল বিহার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বিহারের ২ কিলোমিটার পূর্বে উঁচু পাহাড়ে রয়েছে ৩৪ একর ভূমির উপর ভিক্ষু সংঘের জন্য ভাবনা কেন্দ্র ‘দোচালা অরণ্য কুটির’। বিহারে রয়েছে থাইল্যান্ড থেকে প্রাপ্ত বুদ্ধের পবিত্রময় দূর্লভ ধাতু এবং বুদ্ধমূর্তি, দায়ক-দায়িাগণের প্রদত্ত শ্রদ্ধাদানে নির্মিত হয়েছে অষ্টবিংশতি (২৮) বুদ্ধমূর্তি, পৃথক পৃথকভাবে নির্মিত উপগুপ্ত বুদ্ধ মন্দির, লাভী শ্রেষ্ঠ সীবলী বুদ্ধ মন্দির, ভিক্ষু -শ্রামণের আবাসিক কুটির, ভিক্ষু সংঘের অতিথি ভবন, কঠিন চীবর তৈরীর বেইন ঘর, ভোজন শালা এবং নিজস্ব সুপরিসর পাঠাগার।
বর্তমানে রাঙ্গামটি রাজবন বিহারের সার্বজনীন দেশনালয় এর অনুকরণে একটি বিশাল দেশনালয় ও ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।
কিভাবে যাবেনঃ উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার উত্তরে নানিয়ারচর-লংগদু পাকা সড়ক ধরে বেবীট্রে্ক্সী, মোটর সাইকেল ও পায়ে হেটে বিহারে যাওয়া যায়। এছাড়া রাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে সরাসরি টিএন্ডটি বাজার ঘাটে ভিড়ে অল্প সময়ের মধ্যে বিহারে পৌঁছানো যায়
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস