ভৌগোলিক দিক দিয়ে নানিয়ারচর উপজেলার ঠিক মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ‘চেঙ্গী’ নদী। এ নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাঙ ও পুজগাঙ সঙ্গমস্থল। উত্তরে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মহালছড়ি ঘেঁষে এঁকে বেঁকে নানিয়ারচর উপজেলাকে ভেদ করে মিশে গেছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদে। নদীর পূর্ব ও পশ্চিমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম বা এলাকার সকল ছড়া-ছড়ি এসে চেঙ্গী নদীকে বড় করে তুলেছে। যেমন- কেঙ্গালছড়ি, বেতছড়ি,করল্যাছড়ি, গাইন্দ্যাছড়ি, যাদুখাছড়া, সাবেক্ষ্যং , তৈচাকমা,নানাক্রুম, শৈলেশ্বরী, কৃষ্ণমাছড়া, মাউরম্নম (মহাপুরম) ইত্যাদি।
নদীর একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে : বর্ষা মৌসুমে পানির উচ্চতা বেড়ে যাবার ফলে এ নদীর গতিপথ সহজে বোঝা যায় না। আগে শুষ্ক মৌসুমে বহমান চেঙ্গী নদী যেদিকে প্রবাহিত হতো প্রাকৃতিক কারণে তা এখন পরিবর্তণ হয়েছে। তৈচাকমামুখ থেকে ডাকবাংলা ও পুরান বাজার হয়ে প্রথমে নদীটির গতিপথ ছিল- বটবিল ডাকমাঝিছড়া, কুচ্যাবিল , নানাক্রুমমুখ, মংখোলা, কাট্টলতলী,বুড়িঘাট,ভাঙ্গামুড়া ও কমতলী, ত্রিপুরাছড়ামুখ গোপাল কার্বারী ঘাট হয়ে ৬০ দশকের কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদ। যা প্রাকৃতিক কারণে আগের গতিপথে পলি জমে উঠায় এখন অনেক গ্রাম দূরে ঠেলে দিয়ে নতুন গ্রামকে আপন করে বয়ে চলেছে পুরান বাজার থেকে ১০০০ গজের মধ্যে গোবিন্দ বিল হয়ে মাইচছড়ি বিল ও নতুন বড়াদম এবং সাপমারার কুল ঘেষে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস